“পৃথিবীর মাত্র ২% মানুষ এই ধাঁধাগুলার সমাধান করতে পারবেন।” – কথাটা বলেছেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। তাও নাকি তার বাল্যকালে। বলতেই পারেন ! After all তিনিতো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের একজন। তাও, কেমন জানি একটা খটকা লাগল। এত বড় মানুষ এই সামান্য বিষয় নিয়ে এত বড় কথা বলবেন? ভাল মত খোজ নিলাম। ব্যাপার আসলে তেমন কিছু না। আইনস্টাইন নিজেই যে এই ধাঁধা গুলা দিয়েসেন তার কোন ভাল রেফারেন্স নাই। বরং বিপক্ষে প্রচুর যুক্তি আছে।
যাক, সেটা আমাদের চিন্তার বিষয় না। সবাই বলে আমরাও বলব, আইনস্টাইন এর ধাঁধা। এরকম অনেক গুলা ধাঁধা আছে। আজকে যেটা দিব সেটা প্রকাশ হয় ১৯৬২ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর Life International Magazine নামক এক সাপ্তাহিক পত্রিকায়। তারিখ দেখে আশা করি বুঝতে পারতেসেন এটা আইনস্টাইন এর মৃত্যুর অনেক পরে। যাক আজাইরা পক পক কইরা আর লাভ নাই। মেইন জিনিসে আসি।
ধাঁধাটা এইরকমঃ
এক জায়গায় ৫ টা ৫ রকম রঙের বাড়ি ছিল। সেই বাড়িগুলাতে থাকতো ৫ জাতির ৫ জন লোক। তারা খেত ভিন্ন ভিন্ন সিগারেট, ভিন্ন ভিন্ন পানীয় এবং পালত ভিন্ন রকম প্রানী। প্রশ্ন হল, কে পানি পান করত এবং কে জেব্রা পালত (কোন জাতির লোক)?
Hints:
- ব্রিটিশ লোকটা থাকত লাল রঙের বাড়িতে।
- স্পেনিশ পালত কুকুর।
- সবুজ বাড়ির লোক পান করত কফি।
- ইউক্রেনিয়ান পানীয় হিসাবে চা পান করত।
- সবুজ বাড়ি ছিল Ivory (এটার বাংলা মানে আসলে আমি জানি না। :P) বাড়ির ঠিক ডানে।
- যেই লোক Old Gold সিগারেট খেত, সে পালত শামুক।
- হলুদ বাড়ির লোক খেত Kool সিগারেট।
- ঠিক মাঝের বাড়ির লোক পান করত দুধ।
- প্রথম বাড়িতে থাকত নরওয়ের অধিবাসি।
- শেয়াল যে পালত তার পাসের বাড়ির লোক খেত Chesterfield সিগারেট।
- ঘোড়া যে পালত তার পাসের বাড়ির লোক খেত Kool সিগারেট।
- Lucky Strike সিগারেট যে খেত সে কমলার জুস পান করত।
- জাপানীজ লোকটা খেত Parliament সিগারেট।
- নীল বাড়ির পাশের বাড়িতে থাকত নরওয়ের অধিবাসী।
At last, আমি বলতে চাই এইটা পড়ে কয়ডা নতুন বিড়ির নাম অন্তত শিখসেন। তাহলেই, আমার এই লেখা সার্থক।
😀
3 comments
আজকে মাথায় কিছু কাজ করতেছে না… দেখি কাল এইটা নিয়ে বসব… তয় গোল্ড লিফ কই?
Author
spot আসে ৫ টা ব্রান্ড এর। ওইটাও থাকলে নতুন ৫ টা নাম কেমনে শিখাইতাম………:D
ব্যাপক মজা পাইলাম। আমরা দুজন মিলে ধাঁধাটা সমাধান করার চেষ্টা করলাম আলাদা আলাদা দুটি উপায়ে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল দুইভাবেই সমাধান করতে পেরেছি, কিন্তু উপায় দুটোয় যেই সময় লেগেছে সমাধানে আসতে তাদের মাঝে পার্থক্য অনেক বেশী।
দুজনেই অসম্ভব মজা পেয়েছি যখন ধাঁধাটির গানিতিক রুপটা ধরতে পারলাম, 😛
বলা বাহুল্য, এই ভাবে সমাধান এ সহজেই এবং কম সময়ে পৌঁছানো যায়। 😀