একজন শিক্ষাগুরুর জীবন – যা হওয়া উচিত আসলেই কি তাই?

আমার সারাজীবনে আমি এমন কিছু বিস্ময়কর মানুষের সংস্পর্শে এসেছি যারা সবসময়ই আমাকে আরও একটু চেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত করেছেন। নিজের সীমা ছাড়িয়ে কাজকর্ম করার জন্য বলেছেন। সবসময়ই নিজেকে একটু ঠেলাধাক্কা দিতে বলেছেন। তারা এমন কেন বলেছিলেন জানি না, শুধু জানতাম এটাই তাদের পেশা। তাদের পেশা আমার মতন পাগল মানুষ, যারা অনুপ্রেরণা খুজে পায় না তাদের অনুপ্রেরণা দেয়া। খুব বেশি না বুঝলেও এটা ভালই জানি যে তারা আমার খারাপ চান নি। কাদের কথা বলছি এতক্ষণ? আমি বলছি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা। আমার জীবনে তাদের কথার উল্লেখ থাকবেই। তাদের ছাড়া আজকের এই আমি কিছুই না। আমি গর্বিত যে তারা আমার জীবনের একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই তাদের কতটা সম্মান করতে হয় শিখেছিলাম। শিখেছিলাম ঈশ্বরের পরে মা বাবা। তাদের পরেই শিক্ষক শিক্ষিকা। কিন্তু এই দুনিয়ায় যতই বড় হলাম বুঝতে পারলাম যে, একটি দেশের সবচেয়ে সম্মানীয় কাজের কাজিরা তাদের ন্যায্য সম্মানী পান না। সম্মানী তো দূরে থাকুক আজকাল তাদেরকে নানারকম অসম্মানের সম্মুখীন হতে হয়। আজকাল আর কেউ শিক্ষাগুরুর দায়িত্ব পালন করতে চায় না। নানবিধ ঘটনাবলী ক্রমেই শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝের দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। এই কারনে আজকাল তারা ক্লাসে পড়ানোর ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন। সময় থাকতে স্রোতের ঢেউটা ঘোরাতে হবে নাহলে সর্বনাশ অনিবার্য।

 

আমার গল্পটা শুরু করব একটু অন্যভাবে। একটা মানুষের সবে সংসার জীবন শুরু হয়েছে। একটা ছোট ছেলেও হয়েছে। তিনি আমাদের এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের একটি বহুল পরিচিত ছাত্র। অল্প বয়সে বিয়ে করার কারনে সংসার চালানোর চিন্তায় তার সকাল সন্ধ্যা ক্লাস না থাকলেই টিউশনি করতে হতো। কাজের জায়গাগুলো হতো অনেক দূরে দূরে। আমি বলছি মোটামুটি দুই দশক আগের কথা। তখন যানবাহন বলতে কিছু ছিল না বললেই চলে। রিক্সায় চড়া মানে ছিল আজকের দিনের ট্যাক্সিতে ওঠা। এই কাজগুলোর মধ্যে এমন একটা ছেলেকে পড়াতে হতো যার সারাদিনই ব্যস্ত সময় কাটত। দিনের মধ্যে একমাত্র ভোরবেলা ছাড়া তার আর কোন সময়ই ছিল না। অভাবের সংসারে একটু স্থিতিশীলতা আনতে তিনি এই কাজটিও করা শুরু করলেন।

 

ছোট ছেলেটা খুব আদরের ছিল। দিনভরে শয়তানী করে আগ রাতেই ঘুমিয়ে পড়ত। তখন তার মাও একটু শান্তিতে পড়াশুনা করতে পারত। সমস্যা হত সকালবেলা। প্রতিদিন ছেলেটা ৫ টার সময় উঠত। এতো ভোরে উঠেও দেখত বাবা নেই। কোথায় যেন গেছে বাইরে। তখন মাকে ডেকে তুলত এবং জ্বালাতন শুরু করত। বাবার জন্য প্রতি সকালে কান্নাকাটি করত। ছেলেটা কেন যেন তার বাপকে অনেক ভালোবাসতো। সে যখনি পড়াতে যেত তার আগে ছেলেটাকে বাইরে থেকে ঘুরিয়ে এনে ভুলিয়ে ভালিয়ে রেখে যেত। এদিকে সেই মানুষটা সকালের কাজটা করার জন্য আসলে ঘর ছেড়ে বের হতো ভোর ৪টায়। নির্জন রাস্তা, যেকোনো কিছুই তো হতে পারে। কিচ্ছু করার নেই, ছেলের মুখের দিকে চেয়ে সেই মানুষটা সব মেনে নিয়েছিল। বাসা থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে পড়াতে যেতে হতো তাকে। এতো সকালে গাড়িঘোড়া কিছুই থাকত না দেখে পুরো রাস্তাটাই হেটে যেতে হতো তাকে। যেয়ে প্রতিদিনই দেখতেন বাড়ীর গেট বন্ধ, দারোয়ান ঘুমায়। দোষ দেয়া যায় না, এতো সকালে তো যে কেউ ঘুমাবে। উপায় না দেখে গেট টপকে ভিতরের পাঁচিল টপকে ঘুমন্ত কুকুরটাকে পাশ কাটিয়ে উপরে গিয়ে ছেলেটাকে ঘুম থেকে উঠানো ছিল তার প্রথম কাজ। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সেই ছেলেটি প্রথমে তার শিক্ষকের চেহারা দেখত। তাকে ঘন্টাখানেক পড়িয়ে যখন বাইরে আসতেন তখনও সব ঘুমে। তাই নিরুপায় হয়ে আবারও পাঁচিল টপকে গেট টপকে বের হতে হতো। আবার সেই হেটে বাড়ি ফেরা। তারপর ছেলেটাকে মাখন মধু দাদাম (বাদাম) খাইয়ে ক্লাসে যাওয়া। ওই ছাত্রকে তিনি পড়িয়েছিলেন দীর্ঘ ১২ বছর। এখন সেই ছেলেটি বোস্টনে হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। হয়ত অনেকেই ভাবছেন এমন মানুষ কিভাবে হয়। মনে হয় পাগলের প্রলাপ। জী ভাই, মানুষটি আর কেউ না, আমার বাবা। আমি যে লেভেলের পাগল তাহলে আমার বাবা তো এমনি হবেন। যখন বড় হয়েছি দেখেছি যে শিক্ষকেরা ভাল ছাত্র ছাত্রী না পেলে পড়ান না, কারন তাদের ফেলের বোঝাটা নিজের ঘাড়ে নিতে পারবেন না।

 

বাবা সারাজীবন যাদের পড়িয়েছেন অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী ছিল একটু দুর্বল, মেধার দিক থেকে নয় বরং মানসিক দিক থেকে। তাদের নিজেদের ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস ছিল না। মাঝে মাঝেই বলতাম, কেন পড়াচ্ছ? কদিন পরে খারাপ করলে কিন্তু তোমার দোষটা দেবে। বলতেন, তুই আসল ব্যাপারটা বুঝতেছিস তো তাতেই আমার চলবে। কিন্তু দেখ ওরা কেউ খারাপ না, ওদের মন মানসিকতাটা একটু দুর্বল। ওদের মধ্যে আমরাও পারি ওই বিশ্বাসটা নেই। ওটা যখন তৈরি হবে তখন একটু দেখিয়ে দিলেই অনেককিছু করতে পারবে। দেখতামও তাই, কত মানুষ যে এসেছে, কত মানুষ আমার জন্য প্রার্থনা করে গেছে বাবার কল্যাণে। যে পাশ করতে পারে না সেই মানুষ ১০০ এর মধ্যে ৮৪ উত্তর দিয়েও জিপিএ ৫ পেয়েছে এমন নজির আমার চোখের সামনে দেখা। এতো মানুষকে করতে করতে বাবা আমাকে কোনদিনও সময় দেন নি। তার কারনটা এখন বুঝতে পারি। আমি আইন্সটাইন না, কিন্তু এখন আমি তার মতই বলতে পারি, “আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন যখন আমি তাদের কাছে আমার সমস্যাটার সমাধান চাইতে গিয়েছিলাম। কারণ তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার জন্যেই আমি আজকে এটা নিজে করতে শিখে গেছি”। আসলেই, মানুষকে তো এভাবেই শেখাতে হয়। বাবা জানতেন আমাকে কিভাবে শেখাবেন, কিভাবে গড়ে তুলবেন।

 

তাকে দেখতাম ২৪/৭, ৩৬৫ দিনই কাজ করতে। তার কোনই ছুটি ছিল না, তার মধ্যেও একগাদা পরীক্ষার খাতা পরে থাকত, তাই দেখতে হতো। সবারই মনে হয় এমন হয়। বিশেষ করে মনে হয় দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি হয়।

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, এটা বিশ্বাস করি। একমাত্র তারাই পারেন আমাদের শিক্ষিত করে তুলতে। আমাদের সামনে নতুন সুযোগের দুয়ার খুলে দিতে। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষক হতে হলে জ্ঞানী হতে হয়। ডিগ্রি থাকলেই কেউ শিক্ষক হয় না, আর শিক্ষকের মধ্যে আলাদা কিছু গুন থাকতে হয় যেটা সব মানুষের মধ্যে থাকে না, কেননা পরবর্তী প্রজন্ম বড় হয়ে সেই পথেরই পথিক হবে। নজির দেখতে চাইলে বলতে পারি মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের কোনই ডিগ্রী ছিল না, তাহলে এখনও কেন আমরা তার আদর্শ মেনে চলি? আমার নিজের দেশে তো এই পেশার খ্যাতির বিড়ম্বনা দেখে এসেছি, কিন্তু এদেশে এসে যেটা দেখলাম তাতে তো মাথা আরও খারাপ হয়ে গেল। এখানকার ছেলেমেয়েরা শুধু শিক্ষক শিক্ষিকাকে গালাগালি না, মারামারির পর্যায়ও নিয়ে যায়। আমার স্পিচের ক্লাসেই তো দেখলাম একটা ছেলেকে প্রফেসর ২ দিন সিকিউরিটি গার্ড ডেকে বের করে দিলেন। এমন বেপরোয়া ছেলেটা, সে বলেই বসেছিল, “আপনার একটা ডিগ্রী আছে দেখে কিন্তু সেটা আমাকে আপনাকে কষে একটা চড় মারা থেকে থামাবে না”। আমি বুঝলাম প্রফেসরটা নাহয় একটু রাগী, কিন্তু কোন জায়গায় বলা আছে মানুষের সাথে এমন খারাপভাবে ব্যাবহার করতে হয়?

 

আমি যখন ম্যাথল্যাবে কাজ করি, তখন আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় আমাকে একটা আবর্জনার ডিব্বা হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। যে ছেলে মেয়েগুলো সামনে ভাই বলে সম্মান করে, আমি জানি কয়েকজন এমন আছে যে ম্যাথল্যাবের বাইরে জায়গামত পেলেই ধরে মাইর দিবে। শিক্ষকতা একটি উচ্চপদস্থ পেশা। কিন্তু যারাই এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন তাদেরকে তাদের কষ্টের সিকিভাগও সম্মানী দেয়া হয় না। আমাদের উচিত তাদের ঠিকমতন সম্মান করা। এভাবে আমরা আরও ভালমতন শেখার সুযোগ পেতে পারি, কারণ সম্মান করলে পাওয়াও যায়। তাদের বন্ধু হিসাবে নিতে হবে, তাহলেই তারা আমাদের বন্ধু হবেন। এখানে অনেকে এসে আমাকে বলে যে আমার ক্লাসে প্রফেসর কিচ্ছু পড়ান না। অন্য কারো কাছে যেয়ে বললেও, আমার সামনে আমি এমন কিছুই বলতে দেই না। কারণ আমি সত্যি ঘটনাটা জানি। কেউ তার পূর্ণ শ্রম ছেলেমেয়েদের পিছনে ঢেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুনতে চান না। এখানে ছাত্র ছাত্রীরা নালিশ করলে শিক্ষকের বদলি হয়ে যায়, আমাদের দেশের মতন শক্ত আইন এখানে নেই।

 

কদিন আগে ভুল করে একটা ভূগোল এর ক্লাস নেই, কিন্তু এখন বলতে পারি এই প্রফেসরের সাথে দেখা হওয়াতে আমি সাক্ষাত দেবদূতের সন্ধান পেয়েছিলাম। তিনি সিংহভাগ সময় নষ্ট করতেন জীবনে কিভাবে বাচতে হবে সেটা নিয়ে কথা বলে। আমার সাথে অনেক ফ্রি হওয়ায় একদিন জিজ্ঞেস করায় বলে বসলেন কলেজ থেকে কত পান। শুনে মাথা ঘুরে গেল। উনি আমার চেয়েও কম পান ঘন্টায়। ম্যাকডোনাল্ডে কাজ করা একজন কর্মচারীও তার চেয়ে বেশি বেতন পায়। সেদিন বাসায় এসে শিক্ষকদের পারিশ্রমিকের ডাটাশীটটা দেখলাম, যা দেখলাম আর নাই বললাম। এখানে মাস্টার্স করে ঢুকলে বেতন কম হয়, তাদের বলা হয় এডজাঙ্কট। তাদের কষ্ট বেশি, বেতন কম। একমাত্র পিএইচডি করলে যদি ভাল কিছু জোটে, তাও কপালের ব্যাপার। ম্যাথল্যাবে একজন প্রফেসরও কাজ করেন, প্রফেসর ভ্লাদিমির। তার তো পিএইচডি আছে, তাহলে তিনি কেন এতোকিছুর পরও আমাদের সাথেই কাজ করবেন?

 

আর একজন ছিলেন আমার ইংরেজির প্রফেসর। তিনি জীবনে অনেক রকমের কাজ করেছেন, কিন্তু তার জীবনের বেশিরভাগ সময় গেছে একটা ম্যাগাজিনের জন্য রূপচর্চার সামগ্রী নিয়ে লেখার উপরে। অনেক সময় হেসে বলতেন মাঝে মাঝে মনে হয় ইংরেজির চেয়ে এগুলো নিয়ে বেশি লিখতে পারি। তিনি নিজেই বলেছিলেন, এই রূপচর্চার ব্যাপারে লিখে যা রোজগার করতেন এই কলেজে পড়িয়ে সেটার সিকি আনাও পান না। কিছু মানুষ শুধু পারিশ্রমিকের কারনেই পড়াতে আসেন না, কিছু মানুষ এই পেশাটাকে আত্মা থেকে ভালবেসে ফেলেন। কি পড়াচ্ছেন সেটা কোন কথা না, তার চেয়ে কিভাবে পড়াচ্ছেন সেটাই ভবিষ্যতে একটা বৈপ্লবিক ভুমিকা পালনে সাহায্য করতে পারে। নতুন দিশার কান্ডারী হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে প্রফেসররা এক কলেজ ছেড়ে আরেক কলেজে যাচ্ছেন। কেন? কারণ তারা যেমন আমাদের সাহায্য করেন তেমনই আমাদের কাছেও পরোক্ষভাবে সাহায্য চেয়ে বসেন। আমরাই তাদের সেটা দিতে পারি না।

 

এসব ঘটনাগুলোই আমাদের মনকে বিপরীত দিশায় ভাবতে বাধ্য করছে। আমাদের মধ্যে কেউই শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে নিতে চায় না। সবাই কি ভুলে গেছে যে ভবিষ্যতে ভালো শিক্ষক না আসলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন জ্ঞানে জ্ঞানান্নিত হবে? একটা কথা তো সত্যি, যা যাবে তাই ঘুরে আসবে। আমরা যদি শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মানটুকু না দেই তাহলে ভবিষ্যতের শিক্ষকেরা কি আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রতি যত্নশীল হবেন? সেই শিক্ষকেরা হয়ত আজকের শিক্ষকের পরবর্তী প্রজন্ম। তারা কি ভুলে যাবে তাদের বাবা মায়ের কষ্টের কথা? পড়াতে এসে এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার কথা? সবার কাছেই প্রশ্ন রইল।

 

“The job of the modern educator is not to cut down forests, but to irrigate deserts” – C.S Lewis

Awnon Bhowmik
Author: Awnon Bhowmik

I know very little to be proud about it. Mathematics enthusiast, possess a lust for mathematical/computational knowledge

Permanent link to this article: https://www.borgomul.com/awnon/3022/


মন্তব্য করুন আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করে

4 comments

Skip to comment form

  1. আমি ভাবতাম শিক্ষকদের অবস্থা শুধু আমাদের দেশেই খারাপ। আমেরিকার মত দেশে এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। তবুও আমি বলব আমেরিকায় অন্তত কাজের মুল্যায়ন আছে, যেটা বাংলাদেশে নেই।

  2. আপনার বাবাকে আমার স্যালুট।
    ভালো একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন। আমেরিকার শিক্ষকদের স্যালারি সম্পর্কে যা শুনলাম সত্যিই অবাক হওয়ার মত। আমাদের দেশে শুধু বেতন কম না, সম্মানের জায়গাটাও আর আগের মত নেই।

  3. আপনার বাবার জন্য মন থেকে শ্রদ্ধা জানাছি।
    যোগ্য শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান আজকাল কেউই দিতে চায় না। সবাই রেজাল্ট চায়, শিখতে কেউ চায় না। সম্মান আসবে কোথেকে?

    1. ভাল লাগলো তোমার কথা। আসল কথা কি জানো? আমার নিজেরও ইচ্ছা আমার বাবার পেশাটা বেছে নেয়া। যদিও বাবা কোনদিনও চায় না আমি এই কাজটা করি। এটাকে তিনি এখন কারো বাড়ির কামলা খাটার সামিল দেখেন। তবুও হয়ত কোনদিন এই পেশাটাই বেছে নেব। কারণ আমার আসল ইচ্ছা গবেষণা করা। জানো তো পাগল পাবলিকরা ভাল গবেষণা করতে পারে? আমি ভাল গবেষক না, কিন্তু আমি ভাল একখান পাগলা পাবলিক। দেখি কতদুর কি করতে পারি।

      সবশেষে বলি, লেখাডা লাইকানোর জইন্নে জইনের বড়ির মতন ধইন্ন বাদ। 😀

মন্তব্য করুন