১৯৩৭ সালের মার্চে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির পক্ষ থেকে পটুয়াখালী নির্বাচনী এলাকা থেকে এ. কে. ফজলুক হক ও মুসলীম লীগের মনোনীত পটুয়াখালীর জমিদার ও ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মুসলিম লীগ প্রার্থী খাজা নাজিমুদ্দিনের নির্বাচনীপ্রতীক ছিল “হারিকেন” আর হক সাহেবের কৃষক প্রজা পার্টির প্রতীক ছিল “লাঙ্গল”। কৃষক প্রজা পার্টির শ্লোগান ছিল, “লাঙল যার জমি তার, ঘাম যার দাম তার”।সে সময় নির্বাচনী সভা করতে গেলে নির্বাচন কমিশন থেকে সিডিউল নিতে হত যে কোন প্রার্থী কবে জনসমাবেশ করবে।একদিন এক প্রাথী অনুমতি পেলে ঐদিন আর অন্য প্রার্থীরা সভা করে পারত না তাদের অপেক্ষা করতে হত সিডিউল অনুযায়ীপরবর্তী দিনের জন্য। প্রায়ই দেখা যেত সভা সমাবেশের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগের দিন সব প্রার্থী চাইত সিডিউল নিতে। শেরে বাংলা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি হয়তবা প্রভাবশালী নাজিমউদ্দিনের কারণে শেষ দিনের সিডিউল নিতে পারবেন না।তাই তিনি সভা করার সিদ্ধান্ত নিলেন নাজিমউদ্দিনের আগের দিন। শেরে বাংলাসমাবেশে বক্তৃতা শুরু করলেন এভাবে ” ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা নাজিমউদ্দিনসাহেব একজন মহা প্রভাবশালী ব্যক্তি। উনার সাথে যেমন পাকিস্থানী কর্তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে তেমনি সুসম্পর্ক রয়েছে আমেরিকার সাথে।কিছু আগে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম আমেরিকার এক মহা শক্তিশালী বোমা বানাতে যাচ্ছে। যা বানাতে লাগবে মানুষের হাড়। আজ যদি নাজিমউদ্দিন সাহেব নির্বাচনে জেতে তাহলে পূর্ববংগের মানুষ ধরে পশ্চিমে নিয়ে গিয়ে তাদের মেরে তাদের হাড় আমেরিকায় পাঠানো হবে…” । এই অঞ্চলের আবেগপ্রবণ মানুষ গুলো সেই কথা গুলো বিশ্বাস করে দেশিয় অস্ত্র–পাতি নিয়ে অপেক্ষা শুরু করল কখন আসবে নাজিমউদ্দিন। পরের দিন খাজা সাহেব অনেক গুলো লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী সমাবেশ করতে গিয়ে পটুয়াখালীরকাছা–কাছি গিয়ে দেখেন লাঠি সোডা সহ যে যা পারে তাই নিয়ে মানুষ অপেক্ষায় আছে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য। জনসমাবেশ তো দূরের কথা তিনি সেদিনপটুয়াখালীতে নংগর পর্যন্ত করতে পারেন নি। মানুষের আবেগ বুঝে সেটা যথাযথ ভাবে কাজে লাগিয়ে সে সময় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। এই হচ্ছে আমাদের আবহমান বাংলার মানুষগুলোর আবেগ।
ম্যাথমেটিক্সের নিরাবেগ কিন্তু বাস্তববাদী মানুষগুলোকে ম্যাথমেটিক্যাল বিনোদন দেয়ার উৎস হতে পারে “বর্গমূল”। আমি কি করেছি,কি করছি এবং কি করা উচিৎ তা আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে আমাদের সুপ্ত আবেগ জাগিয়ে সোনালী দিনের পথে নিয়ে যেতে পথপ্রর্দশকের ভূমিকায় অবর্তীন হবে এটি। গতানুগতিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে নিজের স্বাধীন জগৎ তৈরী করার জন্য কিছু তরুনের “বর্গমূল” নামক যে প্রয়াস তা সত্যি প্রসংশনীয়। আমরা প্রত্যাশা করতে পারি নিজে জানার,জানানো,শেখার মাধ্যমে আপন সত্ত্বাকে সমৃদ্ধ করতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে বর্গমূল। আজ আমরা সত্যি গর্বিত আমরা বর্গমূল নামক একটা প্লাটফরম পেয়েছি যেখানে আমাদের বিভাগের অনেক বড় এবং ছোট ভাইদের পাবো,পাবো হাজারও সমস্যা ও তার সমাধান, জানাবো আমাদের অনুভূতি গুলো, জানবো ম্যাথে সুপ্রতিষ্ঠিত সেসব বড় ভাইদের অনুভূতি। সবকিছু মিলে জেগে থাকবে আমাদের সকলের সোনালী স্বপ্নের আবেগ গুলো,জেগে থাকবে “”বর্গমূল””“
2 comments
“বর্গমূল” হবে আমাদের স্বপ্নের সারথী।
Author
ঠিক তেমনি সপ্ন বাস্তবায়নের নিয়ামক